আমরা ফটিকছড়ি উপজেলাকে পূর্ণাঙ্গভাবে ইন্টারনেটে তুলে ধরতে চাই । সবাইকে দিতে চাই নির্ভুল তথ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা । তথ্য হোক উম্মুক্ত, সবার এবং সহজলভ্য । এ লক্ষ্যেই আমরা শুরু করেছি পথচলা ।

ভুজপুরে ফের চোরাই পাচারকৃত কাঁচা রাবার ভর্তি প্রাইভেট কার আটক

গোপন সংবাদে ভুজপুর থানা পুলিশদল কাজিরহাট এলাকা থেকে প্রাইভেট কার ভর্তি চোরাই পাচারকৃত রাবার আটক করেছে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে চট্টমেট্টো--১১-০৪২৩ এর চালক অপর পাচারকারী সদস্য পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানান। আটককৃত রাবারের আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০ হাজার টাকা বলে পুলিশ জানান। এই ব্যাপারে ভুজপুর থানা মামলা নং-০৩(১০)১০ইং রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে,গত এক মাসের মধ্যে উপজেলা ফটিকছড়ির তাঁরাকো দাঁতমারা সরকারি রাবার বাগান থেকে কোটি কোটি টাকার রাবার পাচার হলেও ভুজপুর ফটিকছড়ি থানা পুলিশদল প্রকৃত আসামীদেরকে গ্রেফতারে অসহায় হয়ে পড়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুজপুর থানার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা জানান। উক্ত কর্মকর্তা এলাকাবাসী জানান, পাচারকারী দলের সদস্যরা বিভিন্ন উপায়ে ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃত আসামীর পরিবর্তে নীরহ লোকজন আসামী হয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ জানা গেছে। গত এক মাসের মধ্যে ভুজপুর থানায় একের পর এক রাবার আটক মামলা হয়েছে। যাহা ভুজপুর থানা মামলা নং- ০১,তাং-০২/১০/২০১০ইং , মামলা নং-০৭,তাং-২৯/০৯/২০১০ইং মামলা নং- ০৩, তাং-০৬/১০/২০১০ইং উক্ত মামলা গুলোর প্রকৃত আসামী কাউকে পুলিশ এই যাব গ্রেফতার করতে পারেনি বলে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা এলাকাবাসী জানান। ইতিপূর্বে রাবার পাচার সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে আলী আক্কাস ভুট্টু, সাব্বির,জাহাঙ্গীর টিপু,জকু নুরুল ইসলাম গংদের নাম চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। থানার .সি মো:ইসমাইল অনান্য পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, যাদের কাজ থেকে রাবার উদ্ধার করা হয়েছে এবং যারা জড়িত তারা প্রায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী। এলাকাবাসী আরও জানান, উপজেলা মূখ্য কর্মকর্তা মো:গাউসূল আজম এর নেতৃত্বে হেঁয়াকো বি.ডি.আর সদস্য ভুজপুর থানা পুলিশদল ক্ষমতাসীন দলের নেতা ব্যক্তিগত রাবার বাগানের মালিক মজিবুল হক মজুমদার প্রকাশ, মজু কোম্পানীর রাবার কারখানা তার বাড়ির এক বাসগৃহ থেকে কোটি টাকার রাবার আটক করেছে। ট্রাক ভর্তি অর্ধ কোটি টাকার রাবার আটকের পর উক্ত ভুট্টু থানা থেকে ছাড় নিতে চেষ্টা চালালেও বেরসিক ছেড়েনি। উল্লেখিত রাবার বাগানের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে বর্তমানে করেরহাট ফেনী,হেঁয়াকো গহিরা সড়ক,খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম সড়ক নাজিরহাট কাজিরহাট সড়ক দিয়ে এই সব কোটি কোটি টাকার মূল্যের চোরাই কাঁচা রাবার পাচার হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এছাড়া উল্লেখিত সড়কে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ফেনসিডিল,হিরোহিন বিভিন্ন পন্য পাচার হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। উপরোক্ত বিয়ষে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম বিভাগের রাবার শিল্প উন্নয়নের মহা ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম ঘটনার কথা ¯^xKvi করে বাগানের জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

0 comments:

Post a Comment